চরফ্যাসন(ভোলা)সংবাদদাতা।। চরফ্যাসন মাদ্রাজ ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড মিয়াজানপুর এলাকার সাধারন সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রুহুল আমিনের বাড়ীতে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে রুহুল আমিনের মা সহ ১৫ জনকে আহত করেছে। আহতদের কে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহত ৩ জনকে বরিশাল রেফারড করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় রফিকুল ইসলাম রুহুল আমিনের বাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চরফ্যাশন থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহতরা হলেন, প্রার্থী রুহুল আমিনের মা রোকেয়া বেগম (৬৫), গনি হাওলাদার (৪৫) রিয়াজ (২৩) মজিদ পলফান (৬৫) হোসেন হাওলায় (৬৫) জামাল (২৩) ইদ্রিস খাঁ (৭৫), জান্নাত (২৩) ও তাঁর ছেলে আবির (৬মাস),মনির মুন্সী।
রফিকুল ইসলাম রুহুল আমিন জানান, রাত সাড়ে ১০ টায় চরফ্যাসন বাজারের কলেজ রোডের ফ্রিজ ব্যবসায়ী আব্বাসের নেতৃত্বে কাদের,আলাউদ্দি পাটোয়ারী,সাবেক মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল, লোকমান পাটোয়ারী ও প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য পদ প্রার্থী কাদের সহ অর্ধশতাধিক সসন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী অস্ত্র দা,সেনি ও লোহার রড লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ঘরের বিদ্যুতের মিটার ভেঙ্গে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে অন্ধাকারের মধ্যে আমার ভাইয়ের ৬ মাসের শিশু সন্তানকে তাঁর মায়ের কোল থেকে নিয়ে ছিটকে ফেলে দেয় আব্বাস। এসময় আমার সমর্থকদের পিটিয়ে আহত করে। এঘটনায় গনি হাওলাদারের ডান হাতের একটি আঙ্গুল দায়ের কোপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে ঘর সসন্ত্রাসী দল ঘর ভাংচুর, ২ টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা, হোন্ডাসহ নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।
আহত জান্নাত জানান, আমার ছয় মাসের শিশু সন্তান কে আমার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দূরে ছুড়ে মারে। আমাকে কুল ঘুষি ও বগি দার উল্টো দিক দিয়ে আঘায় করেছে। আমার গায়ের পোষাক ছিড়ে ফেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, কাদের ও আব্বাস বুধবার সকাল থেকেই রফিকুল ইসলাম রুহুল আমিনের বাড়ীর সামনে মহড়া দিতে থাকে রুহুল আমিন কে জোর জবর করে নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে চেয়েছে। ব্যর্থ হয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় মামলা না নেয়ায় ভুক্তভোগী প্রার্থী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।